আজমপুর রেলওয়ে স্টেশন – Azampur Railway Station

আজমপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাত্রা করার পূর্বে সঠিক ট্রেনের তথ্য জানা অত্যন্ত জরুরি। আপনি প্রতিদিনের যাত্রী হন বা মাঝেমধ্যে ভ্রমণকারী, কিংবা দীর্ঘ দূরত্বের পরিকল্পনা করছেন - এই বিস্তারিত সময়সূচী আপনাকে সাহায্য করবে। আজমপুর থেকে ছাড়া প্রতিটি ট্রেনের নাম, আগমন-প্রস্থানের সময়, সাপ্তাহিক ছুটির দিন - সব তথ্য এখানে পাবেন। এই সময়সূচী অনুসরণ করে আপনি সহজেই আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন এবং যাত্রাপথ হবে নির্ভুল ও আরামদায়ক।

আজমপুর থেকে সিলেটগামী ট্রেন সমূহ

আজমপুর থেকে ঢাকাগামী ট্রেন সমূহ 

আজমপুর স্টেশন থেকে সিলেটগামী ট্রেনের বিস্তারিত তথ্য

পারাবত এক্সপ্রেস (৭০৯)

এই ট্রেনটি প্রতিদিন সকাল ০৮:৫২ মিনিটে আজমপুর স্টেশন থেকে রওনা হয় এবং দুপুর ০১:০০ টায় সিলেটে পৌঁছায়। মোট যাত্রাপথে সময় লাগে প্রায় ৪ ঘণ্টা ৮ মিনিট।

বন্ধ: সোমবার

জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস (৭১৭)

জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস দুপুর ০১:৩৯ মিনিটে আজমপুর থেকে ছেড়ে সন্ধ্যা ০৭:০০ টায় সিলেটে পৌঁছায়। যাত্রাপথে সময় নেয় ৫ ঘণ্টা ২১ মিনিট।

বন্ধ: মঙ্গলবার

কালনী এক্সপ্রেস (৭৭৩)

সন্ধ্যা ০৫:১৪ মিনিটে আজমপুর থেকে ছেড়ে রাত ০৯:৩০ মিনিটে সিলেটে পৌঁছায় এই ট্রেন। মোট সময় লাগে ৪ ঘণ্টা ১৬ মিনিট।

বন্ধ: শুক্রবার

আজমপুর স্টেশন  থেকে ঢাকাগামী ট্রেনের বিস্তারিত তথ্য

কালনী এক্সপ্রেস (৭৭৪)

সকাল ১০:২২ মিনিটে আজমপুর থেকে রওনা দিয়ে দুপুর ১২:৫৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছায়। এটি সিলেট থেকে আসা একটি দ্রুতগামী ট্রেন।

বন্ধ: শুক্রবার

জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস (৭১৮)

বিকেল ০৪:৪৮ মিনিটে আজমপুর থেকে ছেড়ে সন্ধ্যা ০৭:১৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছায়। সিলেট থেকে ফেরার জন্য জনপ্রিয় ট্রেন।

বন্ধ: বৃহস্পতিবার

পারাবত এক্সপ্রেস (৭১০)

রাত ০৮:০৭ মিনিটে আজমপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে রাত ১০:৪০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছায়। রাত্রিকালীন যাত্রার জন্য উপযুক্ত।

বন্ধ: সোমবার

ঐতিহাসিক পটভূমি

আজমপুর রেলওয়ে স্টেশন উনিশ শতকের শেষের দিকে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৮৯৫ সালের জুলাই মাসে চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত মিটার-গেজ লাইনের সম্প্রসারণ শুরু হয় এবং ১৮৯৬ সালে কুমিল্লা-আখাউড়া-শাহবাজপুর সেকশন খোলা হয়, যেখানে আজমপুর একটি অফিসিয়াল স্টপেজ হিসেবে চালু হয়।

অবস্থান

স্টেশনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার উত্তর আখাউড়া এলাকায় অবস্থিত, যা চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত। 

গুরুত্ব

গত কয়েক দশক ধরে, স্টেশনটি বাংলার পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলগুলোকে সংযুক্ত করতে যাত্রী এবং মালবাহী উভয় পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে পারাবত, জয়ন্তিকা এবং কালনী এক্সপ্রেসের মতো আন্তঃনগর ট্রেনগুলি ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ভৈরব বাজার এবং সিলেটকে আজমপুরের মাধ্যমে সংযুক্ত করে।