ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন – Brahmanbaria Railway Station

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাত্রা করার পূর্বে সঠিক ট্রেনের তথ্য জানা অত্যন্ত জরুরি। আপনি প্রতিদিনের যাত্রী হন বা মাঝেমধ্যে ভ্রমণকারী, কিংবা দীর্ঘ দূরত্বের পরিকল্পনা করছেন - এই বিস্তারিত সময়সূচী আপনাকে সাহায্য করবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ছাড়া প্রতিটি ট্রেনের নাম, আগমন-প্রস্থানের সময়, সাপ্তাহিক ছুটির দিন - সব তথ্য এখানে পাবেন। এই সময়সূচী অনুসরণ করে আপনি সহজেই আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন এবং যাত্রাপথ হবে নির্ভুল ও আরামদায়ক।

ফরওয়ার্ড ট্রেনসমূহ – ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রেনের সময়সূচি

🚆 ডাউনওয়ার্ড ট্রেনসমূহ – ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রেনের সময়সূচি

🚆 ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন ট্রেনের সময়সূচি (ফরওয়ার্ড ট্রেনসমূহ)

তুর্ণা(৭৪১)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সকাল ০৩:১০ টায় ছাড়ে (আগমন ০৩:০৭ টায়)। এটি গন্তব্য ঢাকা পৌঁছে ০৫:১০ টায়।
বন্ধের দিন: কোনো দিন বন্ধ নয়

পারাবত এক্সপ্রেস (৭০৯)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সকাল ০৮:২৯ টায় ছাড়ে (আগমন ০৮:২৬ টায়)। এটি গন্তব্য সিলেট পৌঁছে দুপুর ০১:০০ টায়।
বন্ধের দিন: সোমবার

উপকূল এক্সপ্রেস (৭১১)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সকাল ০৯:১৫ টায় ছাড়ে (আগমন ০৯:১১ টায়)। এটি গন্তব্য ঢাকা পৌঁছে ১১:২০ টায়।
বন্ধের দিন: বুধবার

মহানগর প্রভাতী (৭০৪)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সকাল ০৯:৪৪ টায় ছাড়ে (আগমন ০৯:৪০ টায়)। এটি গন্তব্য চট্টগ্রাম পৌঁছে ০১:৩৫ টায়।
বন্ধের দিন: কোনো দিন বন্ধ নয়

চট্টলা এক্সপ্রেস (৮০১)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সকাল ১০:২৯ টায় ছাড়ে (আগমন ১০:২৬ টায়)। এটি গন্তব্য ঢাকা পৌঁছে দুপুর ১২:৪০ টায়।
বন্ধের দিন: শুক্রবার

জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস (৭১৭)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে দুপুর ০১:১৫ টায় ছাড়ে (আগমন ০১:১১ টায়)। এটি গন্তব্য সিলেট পৌঁছে সন্ধ্যা ০৭:০০ টায়।
বন্ধের দিন: মঙ্গলবার

মহানগর এক্সপ্রেস (৭২১)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বিকেল ০৪:৩০ টায় ছাড়ে (আগমন ০৪:২৬ টায়)। এটি গন্তব্য ঢাকা পৌঁছে সন্ধ্যা ০৬:৪০ টায়।
বন্ধের দিন: রবিবার

কালনী এক্সপ্রেস (৭৭৩)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বিকেল ০৪:৪৯ টায় ছাড়ে (আগমন ০৪:৪৬ টায়)। এটি গন্তব্য সিলেট পৌঁছে রাত ০৯:৩০ টায়।
বন্ধের দিন: শুক্রবার

🚉 ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন ট্রেনের সময়সূচি (ডাউনওয়ার্ড ট্রেনসমূহ)

তুর্ণা(৭৪২)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে রাত ০১:১৬ টায় ছাড়ে (আগমন ০১:১২ টায়)। এটি গন্তব্য চট্টগ্রাম পৌঁছে ০৫:১৫ টায়।
বন্ধের দিন: কোনো দিন বন্ধ নয়

কালনী এক্সপ্রেস (৭৭৪)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সকাল ১০:৫১ টায় ছাড়ে (আগমন ১০:৪৮ টায়)। এটি গন্তব্য ঢাকা পৌঁছে দুপুর ১২:৫৫ টায়।
বন্ধের দিন: শুক্রবার

চট্টলা এক্সপ্রেস (৮০২)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বিকেল ০৪:২৩ টায় ছাড়ে (আগমন ০৪:১৯ টায়)। এটি গন্তব্য চট্টগ্রাম পৌঁছে রাত ০৮:৩০ টায়।
বন্ধের দিন: শুক্রবার

জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস (৭১৮)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বিকেল ০৫:১৩ টায় ছাড়ে (আগমন ০৫:০৯ টায়)। এটি গন্তব্য ঢাকা পৌঁছে ০৭:১৫ টায়।
বন্ধের দিন: বৃহস্পতিবার

উপকূল এক্সপ্রেস (৭১২)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বিকেল ০৫:২১ টায় ছাড়ে (আগমন ০৫:১৭ টায়)। এটি গন্তব্য নোয়াখালী পৌঁছে ০৮:৪০ টায়।
বন্ধের দিন: মঙ্গলবার

মহানগর গোধূলি (৭০৩)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সন্ধ্যা ০৬:৪৫ টায় ছাড়ে (আগমন ০৬:৪১ টায়)। এটি গন্তব্য ঢাকা পৌঁছে ০৮:৪৫ টায়।
বন্ধের দিন: কোনো দিন বন্ধ নয়

পারাবত এক্সপ্রেস (৭১০)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে রাত ০৮:৩৪ টায় ছাড়ে (আগমন ০৮:৩০ টায়)। এটি গন্তব্য ঢাকা পৌঁছে ১০:৪০ টায়।
বন্ধের দিন: সোমবার

মহানগর এক্সপ্রেস (৭২২)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে রাত ১১:৩১ টায় ছাড়ে (আগমন ১১:২৮ টায়)। এটি গন্তব্য চট্টগ্রাম পৌঁছে রাত ০৩:৩০ টায়।
বন্ধের দিন: রবিবার

ঐতিহাসিক পটভূমি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন ব্রিটিশ আমলে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে নেটওয়ার্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৮৯৫ সালে চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত মিটার-গেজ রেলপথ নির্মাণের অংশ হিসেবে এই স্টেশনটি চালু হয়। ১৮৯৬ সালে কুমিল্লা-আখাউড়া-শাহবাজপুর সেকশন খোলার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া একটি প্রধান স্টপেজ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। স্বাধীনতার পর স্টেশনটি আধুনিকীকরণ করা হয় এবং এটি এখন বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলীয় রেল যোগাযোগের একটি কেন্দ্রবিন্দু।

অবস্থান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে অবস্থিত, যা চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত। স্টেশনটি শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এবং স্থানীয় পরিবহন মাধ্যমে সহজেই পৌঁছানো যায়।

গুরুত্ব

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন বাংলাদেশের পূর্ব অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট। এটি ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেটের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। স্টেশনটি প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী পরিবহন করে এবং আঞ্চলিক বাণিজ্য ও যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিশেষ করে তুরনা এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী, মহানগর গোধূলি, উপকূল এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস এবং কালনী এক্সপ্রেসের মতো গুরুত্বপূর্ণ আন্তঃনগর ট্রেনগুলি এই স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করে, যা ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে দেশের প্রধান শহরগুলির সাথে সংযুক্ত রাখে।

যাত্রী সুবিধা

স্টেশনে যাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধা যেমন টিকিট কাউন্টার, অপেক্ষা কক্ষ, খাবারের দোকান এবং পানির ব্যবস্থা রয়েছে। স্টেশন চত্বরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাও বিদ্যমান।